রোববার, ০৪ জুন ২০২৩

চট্টগ্রাম-দুবাই শিপিং সার্ভিস চালুর দাবি

সারাবেলা প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০১৭ শনিবার, ০৮:০৩ এএম

চট্টগ্রাম-দুবাই শিপিং সার্ভিস চালুর দাবি শিপিং সার্ভিস

ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধশীল দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। বড় এই বাজারে নিজেদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে এশিয়ার প্রায় সবকটি দেশ। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। বাণিজ্যিক খাত হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বাণিজ্য সমপ্রসারণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সেখানে রপ্তানি করছেন দেশীয় পণ্য।

হাইফার মার্কেট, সুপার মার্কেটসহ গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ফলে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে ক্রমাগত রপ্তানি আয়।

২০১০-১১ অর্থবছরে শুধুমাত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানি খাত থেকে আয় হয়েছিল ১২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যা ২০১৬ অর্থবছরে এসে পরিণত হয় ৪২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারে। মাঝে প্রতিটি অর্থবছরেই ক্রমাগত হারে বেড়েছে রপ্তানি আয়।

দেশীয় পণ্যের ব্যাপক চাহিদার কথা উল্লেখ করে ব্যবসায়ীরা জানান, নিজ দেশের পণ্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে তাদের রয়েছে প্রবল ইচ্ছা। তবে দেশ থেকে আমিরাতে সরাসরি শিপিং লাইন না থাকায় পণ্য রপ্তানিতে বেশ বেগ পেতে হয়। তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস সামগ্রী, শাক-সবজি, শুকনো খাবার, হিমায়িত মাছ ও চামড়াজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আমিরাতে।

এছাড়া প্লাস্টিক, সিরামিক, ইলেকট্রনিক ও কসমেটিক্স সামগ্রীর বাজার বাড়ছে। শুধু তাই নয় প্রাণ, বিডি, বনফুলের মত কোম্পানিগুলোও সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে আমিরাতে। বাংলাদেশি ক্রেতা সাধারণ বেশি থাকলেও দেশ থেকে সরাসরি পণ্য আনা-নেয়ায় হিমশিম খেতে হয় ব্যবসায়ীদের। যার কারণে একই পণ্য ওমান, ভারত, পাকিস্তান থেকে আমদানি করেন তারা, এমনটাই জানান প্রবাসী ব্যবসায়ীরা।

মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি রয়েছে বেশ সুনামও। দেশীয় পণ্যের সুন্দর ভবিষ্যত থাকলেও রয়েছে কিছু প্রতিবন্ধকতা। আরব আমিরাত তথা দুবাইয়ের সঙ্গে পণ্য রপ্তানির জন্যে বাংলাদেশ থেকে নেই কোনো শিপিং লাইন।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সময় নিয়ে সিংঙ্গাপুর, কলম্বো, করাচি অথবা মুম্বাই হয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য পৌঁছে দুবাইয়ে। এতে পচনশীল পণ্য নষ্ট হয়ে যাবার যেমন ঝুঁকি থাকে তেমনি খাদ্য দ্রব্যের মানও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে পচনশীল খাদ্য দ্রব্যগুলো দ্রুত আনা নেয়ায় জন্য এয়ার ফ্লাইট ব্যবহার করলেও খরচ পড়ে যায় দ্বিগুণ।

এ বিষয়ে কথা হলে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মাশিয়াল কাউন্সিলর ড. একেএম রফিক আহমদ বলেন, ‘ক্রমাগত হারে রপ্তানি আয় বাড়ছে। আয় বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে দেশের সঙ্গে সরাসরি শিপিং লাইন না থাকায় পণ্য রপ্তানিতে অসুবিধা হয়। বিষয়টি নিয়ে এখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারকে জানিয়েছি। সরাসরি শিপিং ব্যবস’া চালু করা গেলে দ্বিগুণ বাড়বে আমাদের রপ্তানি আয়।’

প্রবাসী ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম থেকে দুবাইয়ে সরাসরি শিপিং ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘স্বল্প সময়ে ও কম খরচে পণ্য রপ্তানি করা গেলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি বাড়বে রপ্তানি আয়’।