সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

যৌন হয়রানির অভিযোগের জবাব দিলেন সাংবাদিক প্রণব সাহা

প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার, ০৯:০৬ পিএম

যৌন হয়রানির অভিযোগের জবাব দিলেন সাংবাদিক প্রণব সাহা

নারী অধিকার কর্মী ও সাংবাদিক সুপ্রীতি ধরের মেয়ে শুচিস্মিতা সীমন্তি সাংবাদিক প্রণব সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ৩০ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এর পর থেকেই এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর ফেসবুকে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন প্রণব।

৬ নভেম্বর, মঙ্গলবার রাত ১০টা ২১ মিনিটে প্রকাশিত হওয়া ওই স্ট্যাটাসে সুপ্রীতি ধর ও তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসির এই সম্পাদক।
প্রণব সাহা ফেসবুকে লিখেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সম্প্রতি আমার সাবেক সহকর্মী ও সাবেক প্রেমিকা সুপ্রীতি ধরের মেয়ে শুচিস্মিতা সীমন্তি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ১১ বছর আগে তার ১৬ বছর বয়সে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছে। যদিও ২০০৪ সালের দিকে কয়েক বছর প্রেমের সম্পর্কের সময় সুপ্রীতির ছেলে-মেয়ে সীমন্তি ও সৌম্যকে নিজের সন্তানের মতোই দেখেছি। তারাও নিশ্চিন্তে প্রণব মামার কোলে-পিঠেই বড় হয়েছে।

পরিষ্কার করে বলতে চাই, সন্তানতুল্য সীমন্তি যে এক যুগ পরে এমন একটা অভিযোগ তুলতে পারে, সেটাই আমার জন্য বড় পীড়াদায়ক। এ অভিযোগের যেমন কোনো ভিত্তি নাই, তেমনি এটাকে ধরে আমাকে সামাজিক, মানসিক এবং পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করাও সমীচীন নয়। আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারও গ্রহণযোগ্য নয়।’

সীমন্তি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ১১ বছর আগে তার বয়স যখন ১৬, তখন প্রণব সাহা তার শরীরে অযাচিতভাবে স্পর্শ করেন। কিন্তু পারিবারিকভাবে খুব গভীর সম্পর্ক থাকায় ও পিতৃতুল্য হওয়ায় তিনি ভয়ে এ কথা কাউকে জানাতে পারেননি। প্রণব সাহার ওই যৌন হয়রানির কারণে মানসিকভাবে অনেক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে ফেসবুকে জানান প্রণব সাহা। তিনি লিখেন, ‘তারপরও বলি, অভিযোগ নিয়ে মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, খুশী কবির এবং নাসিমুন আরা হক মিনু ডিবিসি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। যদিও অভিযোগটি যে সময় নিয়ে করা হয়েছে, তখন আমি এবং সুপ্রীতি দুজনেই প্রথম আলো পত্রিকায় সহকর্মী ছিলাম। দুজনের সম্পর্ক পরিণতি না পাওয়ার ঘটনাও চুকে গেছে এক যুগ আগেই। এর বহু বছর বাদে ডিবিসি টেলিভিশনের জন্ম এবং অভিযোগের ঘটনাস্থলও ডিবিসি নয়। আমি কৃতজ্ঞ, আমার অফিস একতরফা আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযোগ তদন্তের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছেন।’

‘অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শ্রদ্ধেয় সুলতানা কামাল, খুশী কবির এবং নাসিমুন আরা হক মিনু আপাই কমিটি গঠন করে দেবেন। শুধু আমার বিনীত অভিযোগ, কমিটিতে এমন কেউ থাকবেন না, যে বা যারা এরই মধ্যে একটি পক্ষ নিয়েছে। আমার আবেদন, সেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে সামাজিকভাবে অপদস্ত করা, দোষী সাব্যস্ত করা, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের জেরে আমার বর্তমান প্রতিষ্ঠানকে হেয় করা থেকে সবাই বিরত থাকবেন।’