রোববার, ০৪ জুন ২০২৩

ভোটের মাঠে নেমেই আফতাবের বাজিমাৎ

হোসাইন ইমরান, আনোয়ারা

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার, ১১:৩১ এএম

ভোটের মাঠে নেমেই আফতাবের বাজিমাৎ

জীবনে কখনো কোন পর্যায়ে ভোট করেন নি। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখেও সহজে পার পেয়ে গেছেন। ভাগ্য নাকি দৃঢ়তা - নিশ্চিত করে না বললেও জীবনে প্রথম ভোটের মাঠে নেমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ইউপি চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন আনোয়ারা চাতরী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আফতাব উদ্দিন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে তার সামনে প্রার্থী একজনই, পিতা শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী। যাচাই বাছাইয়ের পর টিকে গেলে সরে দাড়াবেন পিতা, আর আফতাব উদ্দিন চৌধুরী হবেন চেয়ারম্যান হিসাবে এই ইউনিয়নে পিতার পর আসীন হওয়া প্রথম ভাগ্যবান পুত্র ।

এক নগর দুই শহর কিংবা চীনের সাংহাইয়ের আদলে কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে নগরায়নের যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে তার কেন্দ্রে রয়েছে আনোয়ারার চাতরীর ইউনিয়ন। কেইপিজেড, চায়না ইকোনমিক জোন, কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়কের মত সবগুলো মেগা প্রকল্পই ছুয়ে গেছে এই ইউনিয়নকে। এই ইউনিয়নে দুই বারের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইয়াছিন হিরু। দায়িত্বপালনকালীন বড় কোন সমালোচনা না থাকলেও প্রার্থী বদলে আফতাব উদ্দিনের নৌকার টিকেট পাওয়াকে বড় চমক হিসাবে দেখছেন স্থানীয়রা।

শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে কীভাবে পেলেন নৌকার টিকেট প্রশ্নে আফতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। আমার পিতা শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরীও এই পরিবারের আস্থা ও আনুগত্যে থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছিলেন।  মাননীয় ভূমিমন্ত্রী আস্থা রেখেছেন বলেই প্রথম ধাপ পার হতে পেরেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগ ও দেশের আপমর মানুষের প্রতীক নৌকা। আমি এই প্রতীকের প্রার্থী হতে পেরেছি। এই সম্মান ধরে রাখতে চাই। এর বাইরে আর কোন কৃতিত্ব নেই।

বাবা শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতা, এখনো রাজনীতিতে সক্রিয়। এই মনোনয়ন বাবার অবদান নাকি ছেলের অর্জন -উত্তরে তিনি বলেন, এখানে পিতা-পুত্র আলাদা করে বলার কিছু নেই। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আমার পুরো পরিবার আওয়ামীলীগে বিলীন। বাবা আওয়ামীলীগের রাজনীতির মাঝেই জীবন পার করে দিয়েছেন। মাননীয় ভূমিমন্ত্রীর আস্থার স্বীকৃতি দিয়ে বাবার পদাংক অনুসরণে পথ চলতে চাই। মানুষের সেবা করে যেতে চাই।

জীবনের প্রথম নির্বাচন, এলাকার মানুষের সাথে জনসংযোগ কতটুকু প্রশ্নে তিনি বলেন, বাবার চেয়ারম্যান নির্বাচনের সুবাদে ছোটবেলা থেকে ইউনিয়নের প্রতিটি পথঘাট, পাড়া মহল্লা চষে বেড়িয়েছি। এলাকাবাসীর সঙ্গে আমাদের বন্ধন দীর্ঘদিনের। এই বন্ধন ধরে রাখতে চাই।

বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হচ্ছেন, প্রতিক্রিয়া কী এই প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন। কিন্তু কেউ প্রার্থী না হওয়াটা দলের প্রতি আনুগত্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ভূমিমন্ত্রীর প্রতি সম্মান। ভোটের লড়াই তো ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। প্রস্তুতিও ছিল। জীবনের শেষ বিন্দু দিয়েও মানুষের ভালবাসার প্রতিদান দিতে চাই। 

রাজনীতিতে আপনি অপেক্ষাকৃত নবীন, অগ্রজ নেতাদের এক করবেন কীভাবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে চাতরী স্কুলে এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিলাম, তখন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। এরপর রাজনীতির তীর্থস্থান সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর করেছি। সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে কেইপিজেডের চারটি ইউনিটের হেড অব এডমিন হিসাবে আছি। সেখানেও এলাকাবাসীর স্বার্থ দেখেছি সবসময়।মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের দিক নির্দেশনায় সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাব।

চেয়ারম্যান হওয়ার কোন দিকটি অগ্রাধিকার দেবেন জবাবে তিনি বলেন, ইউনিয়নে কেয়াগড়সহ কয়েকটি এলাকা পিছিয়ে আছে। আগামীতে সুষম উন্নয়ন প্রাধান্য পাবে।